স্বাধীনতা দিবস বাংলাদেশের জন্য এক বিশাল গর্বের ও আনন্দের দিন। প্রতি বছর ২৬ মার্চ পালিত এই দিবসটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের চূড়ান্ত বিজয়ের স্মরণে উদযাপিত হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, যা পরবর্তীতে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা পায়। এদিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, আলোচনা সভা, এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। স্বাধীনতা দিবস বাঙালি জাতির জন্য আত্মত্যাগের স্মারক এবং দেশের প্রতি তাদের অপরিসীম ভালবাসা ও গর্বের প্রতীক।

শ্রমিক দিবস বা মে দিবস হচ্ছে আন্তর্জাতিক শ্রমিকদের সম্মানার্থে পালিত একটি বিশেষ দিন। প্রতি বছর ১লা মে তারিখে এ দিনটি উদযাপিত হয়। ১৮৮৬ সালের শিকাগোর হে মার্কেট বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকদের অধিকার ও ৮ ঘণ্টা কর্মদিবসের দাবিতে এ দিবসটি পালন শুরু হয়। শ্রমিক দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো শ্রমিকদের কষ্ট ও পরিশ্রমের স্বীকৃতি প্রদান এবং তাদের জন্য ন্যায্য মজুরি ও কাজের সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করা। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ দিনটি ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়, এবং শ্রমিক সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করে থাকে।

বিজয় দিবস বাংলাদেশের জাতীয় দিবস, যা প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর পালিত হয়। এই দিনটি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয় ও মুক্তিযুদ্ধের শেষ পরিণতির স্মারক। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে, ফলে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ দিনটি বাঙালির দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের আনন্দে উদযাপিত হয়। বিজয় দিবসে সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়, যেমন প্যারেড, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই দিনটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ত্যাগ ও গৌরবের প্রতীক এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের উদযাপনের দিন।